ডিসেম্বরেই নির্বাচন করা সম্ভব কি না, এ নিয়ে এক টকশোতে মতামত দিলেন গোলাম মাওলা রনি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখনও পর্যন্ত অনিশ্চয়তা কাটেনি, তবে স্থানীয় নির্বাচন আগে এবং জাতীয় নির্বাচন পরে করার মতামত শোনা যাচ্ছে।

গোলাম মাওলা রনি বলেন, "অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেটি এখনো তৈরি হয়নি। এমন পরিবেশ তৈরী হতে যদি ১০০০টা কারণ লাগে, তবে সেই ১০০০টা কারণের একটিও এখন নেই, এবং আগামী দুই-চার-পাঁচ মাসে সেটি সম্ভব হবে না।"

রনি আরও বলেন, "যেমন মানুষের শিরদাঁড়ায় প্রবলেম হলে সেই ব্যথা কখনো যায় না, তেমনি আমাদের আইনশৃঙ্খলার যে মেরুদণ্ড আছে, সেটি ঠিক করতে হবে। যে আইনশৃঙ্খলা ভোটকেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে, আর রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী সমর্থকরা রাষ্ট্রকে ভয় পাবে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সবকিছু বিএনপির দখলে চলে যাবে। এর বাইরে জামায়াতের যতো লোকজন আছে, তাঁরা কোনও নির্বাচনী এলাকায় দাঁড়াতেই পারবেন না। এটা তো বাস্তবতা।এর জন্য তাঁরা চাচ্ছেন না।
আর বিএনপি যখন তাঁর নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দখলে চলে যাবে, তখন বিএনপির যে পাঁচ থেকে ছয় জন প্রার্থী হয়ে যাবে একেকটা  এলাকাতে।এখন যে লোক মনোনয়ন পাবে ওর কপাল খারাপ হয়ে যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন, "আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যাদের মনোনয়ন পত্র ইস্যু করেছে, তাদের জীবনও হুমকির মুখে পড়বে।"

এমন পরিস্থিতিতে রনি বলেন, "এটি একটি কঠিন বাস্তবতা, যেখানে নির্বাচন হতে গেলে প্রথমেই আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সমাধান করতে হবে। নির্বাচনের জন্য সবার আগে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে।